■ পিরোজপুর সরকারি মহিলা কলেজের ওয়েব সাইটে আপনাদের স্বাগতম।
জীবনের অনিবার্য চলমানতা ও প্রকৃতির অপার মমতায় বিনির্মিত খরস্রোতা বলেশ্বরবিধৌত উর্বর পললভূমির অত্যুজ্জ্বল পিরোজপুর জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র পাড়েরহাট রোডে অবস্থিত দক্ষিণ বাংলার নারী শিক্ষার তীর্থক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত পিরোজপুর সরকারি মহিলা কলেজ। ‘ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড়’ হিসেবে কলেজটি ১৯৭৯ সালের এক শুভক্ষণে এ প্রকৃতির কোলে প্রতিষ্ঠালাভ করে পিরোজপুরের কয়েকজন ক্ষণজন্মা বিদ্যোৎসাহী কৃতি ব্যক্তির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। খুব কম সময়ের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠার ৬ষ্ঠ বছরে ১ জুলাই ১৯৮৫ সালে কলেজটিকে জাতীয়করণ করা হয়।
প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই প্রতিষ্ঠানটি পিরোজপুর তথা দক্ষিণ বাংলার নারী শিক্ষা বিস্তারে গুরুদায়িত্ব বহন করে আসছে। কলেজের অধ্যক্ষ ও চৌকষ অধ্যাপকবৃন্দের সময়োপযোগী ও প্রগতিশীল সঠিক দিক নির্দেশনা, সম্মানিত অভিভাবকদের সহযোগিতা এবং ছাত্রীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ কলেজটি তার অভাবনীয় সাফল্যে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে প্রতি বছর সেরা দশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ঈর্ষণীয় অংশীদার হিসেবে স্থান করে নেয়। কলেজটি শিক্ষা, সংস্কৃতি, জ্ঞান ও বিবেক আবাদের স্বীকৃতিস্বরূপ মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ২০০৩ সালে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (কলেজ পর্যায়) হিসেবে পুরস্কার লাভ করে। কলেজের ধারাবাহিক এ সাফল্য ধরে রাখতে কলেজের অধ্যক্ষ-শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকবৃন্দ ও কর্মচারীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
দক্ষিণ বাংলার নারী শিক্ষার সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের দৃপ্ত প্রত্যয় নিয়ে ১৯৭৯ সালে পিরোজপুরের কয়েকজন বিশিষ্ট বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিবর্গ পিরোজপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে প্রতিষ্ঠা করেন “পিরোজপুর সরকারি মহিলা কলেজ”। সূচনালগ্ন থেকেই শিক্ষকমন্ডলী এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নিরলস প্রচেষ্টায় এ প্রতিষ্ঠানটি নারী শিক্ষায় এক অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে। আজ এ কলেজটি দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নারী শিক্ষা নিকেতন। সুশৃঙ্খলিত এক মনোরম পরিবেশে চৌকষ শিক্ষকমন্ডলী আধুনিক শিক্ষা উপকরণের সাহয্যে পাঠদান অব্যাহত রেখেছেন। চলমান রয়েছে সার্বিক মান উন্নয়নের জন্য গ্রুপভিত্তিক নিবিড় পর্যবেক্ষণ। সম্মানিত শিক্ষকদের সময়োপযোগী পদক্ষেপ, সঠিক দিক-নির্দেশনা, সম্মানিত এলকাবাসী ও অভিভাবকদের সহযোগিতায় এবং ছাত্রীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কলেজটি আজ সাফল্যের শীর্ষে অবস্থান করছে। তাইতো ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি দেশের শ্রেষ্ঠ্ কলেজ হিসেবে পুরস্কার প্রাপ্ত হয় এবং এরই ধারাবাহিকতায় (প্রায়) প্রতি বছরই জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কলেজ হিসেবে বিবেচিত হয়। আর বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের সেরা দশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই এর অবস্থান। সাহিত্য সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা এবং অন্যান্য সহ-পাঠ্য কার্যক্রমেও এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সাফল্য ঈর্ষণীয়।
More →